বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
চাঁদপুর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : চাঁদপুরে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই নির্মাণ করা হচ্ছে ভবন। শহরের প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর এলাকার গুয়াখোলা রাস্তায় ঢোকার মুখেই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ও হাসান লিটন নামে দুই ব্যক্তি এ ভবনটি নির্মাণ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের গুয়াখোলা রাস্তায় ঢোকার মুখেই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবনের সামনেই ১১ হাজার ভোল্টের লাইনসহ বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির ওপরের অংশ বিদ্যুতের মেইন লাইনসহ ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ অংশের ভেতরে ঢুকে গেছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য ভবন মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছিল। নিষেধ করলেও শোনেননি ভবন মালিকরা। এমনকি ভবন নির্মাণের ঠিকাদার এবং নির্মাণ শ্রমিকরাও এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তারপরও গায়ের জোরে ভবনের নির্মাণকাজ করাচ্ছেন মালিক।
ভবনের অংশীদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা এখন কাজ বন্ধ রেখেছি। কারণ নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের আগে ভাবতে হচ্ছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তো আমাদেরই বিপদ। বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও একটু হতাশার মধ্যে আছি। চাঁদপুর বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী আসলেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আসার পর বিদ্যুতের খুঁটির এই সমস্যার সমাধানের হবে।
চাঁদপুর পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর নিয়ম মেনে ভবন করার জন্য ভবন মালিক পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। তাদের বিদ্যুতের খুঁটি থেকে কমপক্ষে ১ ফুট বা নিরাপদ দূরত্ব রেখে ভবন করার জন্য চিঠি দিয়েছি। এ চিঠির অনুলিপি আমরা জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রকেও দিয়েছি। চিঠির জবাব দেয়া অথবা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি ভবন মালিক পক্ষ।
এসএম ইকবাল হোসাইন আরও বলেন, বিষয়টি পৌরসভার দেখার কথা। পৌরসভা কীভাবে প্ল্যান পাস করেছে? কতটুকু জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিয়ে বিল্ডিং করতে হবে তা তো পৌর কর্তৃপক্ষ দেখবে। আমাদের তো ভবন ভাঙার ক্ষমতা নেই। তবে তারা যদি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ভবন না করে অথবা নির্মিত ভবনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা মামলা করব।